বরগুনা প্রতিবেদক ॥ বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ১৪৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নেয়া ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও উপজেলা শিক্ষা অফিস। পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস খরচ, উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিসের খরচ ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যাতায়ত ও আপ্যায়ন বাবদ ১৪৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ওই টাকা আদায় করা হয়েছে। পরে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনায় ওই টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও উপজেলা শিক্ষা অফিস।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষার্থীদের ভাষার ভান্ডার বৃদ্ধি করতে, শিশুরা বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে পারে সে জন্য প্রতিদিন দুটি করে শব্দ শেখানোর জন্য ন্যূনতম একটি বাংলা ও ইংরেজি শব্দ লেখা শেখানোর খাতা কেনার কথা শিক্ষকদের। সেখানে দেখা যায় পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিস খাতা কিনে শিক্ষকদের মাঝে বিতরণ করেছেন। নি¤œমানের খাতা কিনে শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রতিটি খাতায় সাড়ে বাইশ টাকা করে নেয়ার হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্থানীয় শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিশুরা বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে পারে সে জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন দুটি করে শব্দ শেখানোর একটি বাংলা ও ইংরেজি খাতা কেনার কথা শিক্ষকদের। খাতা গুলো কিনে দেয় শিক্ষা অফিস। এছাড়াও অফিস খরচ বলে প্রতেক বিদ্যালয় থেকে ১হাজার টাকা করে নেয় হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাচনাপাড়া ইউনিয়নের এক প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষকদেরকে নিয়ে মিটিং ডেকে অফিস খরচ বাবদ প্রতেক স্কুল থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা নেয়া হয়েছে। পরে আলোচনা ও সমালোচনায় সে টাকা ফেরত দিচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. সগির হোসেন বলেন, সে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম হায়দার বলেন, শিক্ষকদের পরামর্শ নিয়ে মিটিং করে অফিস খরচ বাবদ স্কুল প্রতি ১ হাজার টাকা ধার্য্য করা হয়েছিল। পরে ওই টাকা শিক্ষকদের ডেকে আবার ফেরত দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষা অফিস চালাতে খরচ দেয় সরকার।শিক্ষকদের কাছ থেকে অফিস খরচ নেয়া হয়েছে কিনা খোজ নিয়ে দেখা হবে।
Leave a Reply